ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলায়:
এই মেলা হল বাংলাদেশের একটি আন্তর্জাতিক মেলা যেখানে দেশ-বিদেশ থেকে ব্যবসায়ী আসে এখানে ব্যবসা করতে। এটি বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্বারা আয়োজন করা হয়। DITF প্রতি বছরেরে শুরুতে অর্থাৎ জানুয়ারির মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয় এবং ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শেষ হয়। ক্রেতাদের জন্য ৪০ টাকা প্রবেশমূল্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ২০ টাকা প্রবেশমূল্য। সকাল ১০টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং ছুটির দিন ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
১ ডিসেম্বর ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন হয় এবং DITF এর উপস্থাপনা হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পশ্চিম পাশে ঢাকার শেরে-ই-বাংলা নগরে প্রতি বছর DITF অনুষ্ঠিত করা হত। কিন্তু ২০২২ সাল জানুয়ারি মাস থেকে রাজধানি পূর্বাচল এলাকায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে মেলা অনুষ্ঠিত করা শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়িরা আসে DITF এ ব্যবসা করতে। মেলায় দেশভিত্তিক বিদেশিদের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। যেমন: মিনি স্টল, সাধারন স্টল, প্রিমিয়াম স্টল, মিনি-প্যাভিলিয়ন এবং মেগা-প্যাভিলিয়ন এর ব্যবস্থা রয়েছে। এই মেলায় নতুন, আধুনিক, আকর্ষণীয় পণ্যের সাথে পরিচয় হওয়া যায়।
লাইবা রুটি মেকার:
লাইবা রুটি মেকার একটি মাল্টি রেসিপি মেকার। রুটি তৈরির জন্য পিড়ি-বেলন ছাড়া আমাদের বাজারে যে সমস্ত ইলেক্ট্রনিক, নন-ইলেক্ট্রনিক এবং রুটি মেকার আছে তণ্মাধ্যে একমাত্র লাইবা ব্রান্ডের কাঠের তৈরী এই রুটি মেকারটির মাধ্যমেই আপনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রেসিপি অনুসারে রুটি তৈরি করতে পারবেন এবং অনেক ধরনের কাঁচা ও সিদ্ধ আটার রুটি ও পরাটা তৈরি করতে পারবেন। দেশীর ও বিশ্বমানের রুটি জাতীয় খাবার গুলো বাংলাদেশের মাগুরা জেলার মোঃ হুমায়ুন কবীরের আবিষ্কৃত এই রুটি মেকারে তৈরি করা যায়। বিভিন্ন ধরনের রুটি বানানর জন্য় অবশ্যই রেসিপি সম্পর্কে ভালোভাবে জানা জরুরি। একমাত্র অরিজিনাল লাইবা রুটি মেকার তৈরি হবে দেশীয় ও বিশ্বমানের সকল ধরনের রুটি। তবে সাবধান আমাদের এই রুটি মেকারটি শত শত লোক ভুল পদ্ধতিতে বানিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রতারিত করছে। তাই লাইবা থেকে অরিজিনাল রুটি মেকার কিনুন।
কাঠের ট্রিটমেন্ট বা কাঠের প্রক্রিয়াকরণ:
ছত্রাক বা কীটপতঙ্গের কাঠকে নষ্ট করে ফেলে। ছত্রাক, ঘুন এবং উইপোকার বাসা বাঁধার একটি উপযুক্ত ও আদর্শ স্থান হল কাঠ বা বাঁশ। যখন এই গুলো পোকা বাসা বাঁধে তার ফলে বাঁশ বা কাঠ ভেতর ও বাহির থেকে নষ্ট হওয়া শুরু করে। এজন্য প্রক্রিয়াকরণ করা জরুরি নাহয় কাঠ বা বাঁশকে ব্যবহার করে দরজা-চৌকাঠ ও আসবাবপত্র তৈরি করার বেশি দিন ব্যবহার করা যাবে না। এই প্রক্রিয়াকরণের ফলে ছত্রাক,উইপোকা সহ সকল ধরণের কীটপতঙ্গের থেকে কাঠ বা বাঁশ নিরাপদ রাখে।
কাঠকে ২ ভাবে ট্রিটমেন্ট বা প্রক্রিয়াকরণ করা হয়:
১/ আধুনিক পদ্ধতিঃ পাম্পের মাধ্যমে একটি আবদ্ধ পাত্রকে বায়ুশূন্য করে কাঠ বা বাঁশ এর সমস্ত বাতাস, পানি, কষ গুলো শুকিয়ে বা নিষ্কাশন করা হয়। অতঃপর অন্য একটি পাম্প চালনা করে পূর্বথেকে দ্রবনকৃত কেমিক্যালের মিশ্রণ আবদ্ধ পাত্রে অধিক চাপে প্রবেশ করানো হয় যাতে করে কেমিক্যালের দ্রবণ কাঠের ভিতরে একদম গভীর পর্যন্ত সমস্ত জায়গায় প্রবেশ করতে পারে। এই অবস্থায় ৩-৪ ঘণ্টা রেখে দ্রবণটি পাম্পের মাধ্যমে বের করে ফেলা হয়। একবারে, পাত্রের আকার অনুসারে ৫০ থেকে ৬০০ CFT পর্যন্ত কাঠ ট্রিটমেন্ট করা যায়। উদাহরণ স্বরূপ, ৫০ CFT ক্যাপাসিটির একটি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট যদি সারাদিন ৪ বার চালানো যায় তবে একদিনে ২০০ CFT কাঠ ট্রিটমেন্ট করা যাবে।
২/ সনাতন বা চুবানো পদ্ধতিঃ এক্ষেত্রে কোন প্রকার বাহ্যিক চাপ বা আবদ্ধ পাত্রের প্রয়োজন হয় না। সুবিধামত প্রস্তুতকৃত যেকোন চৌবাচ্চায় কেমিক্যালের দ্রবণ রেখে তাতে কাঠ ডুবিয়ে রাখা হয়। এতে লক্ষণীয় যে কাঠ চৌবাচ্চায় রাখার পর যেন সংরক্ষণী দ্রবণ পানি কাঠগুলোর অন্তত ০৬ ইঞ্চি উপরে থাকে। প্রয়োজন অনুসারে কাঠগুলো ০১-০৩ দিন সংরক্ষণী দ্রবণে ডুবিয়ে রাখা হয় এবং তারপর শুকিয়ে ব্যবহার করা হয়।
বানিজ্য মেলায় লাইবা রুটি মেকার:
২০১৫ সালে বানিজ্য মেলায় প্রথমবারের মত নিয়ে আসেন হুমায়ুন কবির যিনি লাইবা রুটি মেকারের প্রতিষ্ঠাতা। তার উদ্যোগ দেখে অনেকে নতুন রুটি মেকার তৈরির পরিকল্পনা করে এবং তার পরবর্তী বানিজ্য মেলায় (২০১৬) তারা তাদের রুটি মেকার নিয়ে আসে। তবে ততদিনে লাইবা রুটি মেকার বাজারে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করে ফেলে। শুধু তাই নয় লাইবা রুটি মেকার বাদে বাজারে অন্য যে সকল রুটি মেকার তৈরি হয়েছে সেগুলো নিদিষ্ট মাপ ছাড়া ভুল নিয়মে তৈরি হয়েছে। এখন বাজারে এগুলো নকল রুটি মেকার নামে পরিচিত। ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলায় আমরা যেমন ছিলাম; ২০২৩ সালেও থাকবে আপনাদের প্রিয় লাইবা রুটি মেকার।