সারাদিন ধরে যত খাবারই খান না কেন, অন্তত একবেলা ভাত না খেলে মন কেমন করে- এটাই হলো বাঙালির বৈশিষ্ট্য। বেশিরভাগ বাঙালিরই প্রিয় খাবার হলো গরম ধোয়াওঠা ভাতের সঙ্গে ঝাল ঝাল মাছের ঝোল। আধুনিক সময়ে আমাদের খাদ্যাভাস অনেকটাই বদলে গিয়েছে হয়তো, কিন্তু ভাত খাওয়ার অভ্যাসটা এখনও রয়ে গেছে।
ভাত না খেয়ে আবার রুটি খেয়ে থাকেন অনেকে। কেউ কেউ মনে করেন, ভাতের থেকে রুটিই বেশি উপকারী। আবার কেউ মনে করেন, ভাতই বেশি উপকারী। তাই এর মধ্য থেকে কোনটি খাবেন তাই নিয়ে দ্বিধা-দন্দ্বে ভোগেন অনেকেই। তাই জেনে নেওয়া যাক ভাত বেশি উপকারী না রুটি-
৩০ গ্রাম ভাতের ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট থাকে ২৩ গ্রাম। আবার ৩০ গ্রাম আটার ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট থাকে ২২ গ্রাম। ভাতে প্রোটিন থাকে ২ গ্রাম আর আটা বা রুটির ক্ষেত্রে প্রোটিন থাকে ৩ গ্রাম।
ভাতে ফ্যাটের পরিমাণ থাকে ০.১ গ্রাম এবং আটা বা রুটিতে ফ্যাটের পরিমাণ থাকে ০.৫ গ্রাম। ভাতে ফাইবার থাকে ০.১ গ্রাম পরিমাণে এবং আটা বা রুটিতে থাকে ০.৭ গ্রাম। ভাতে আয়রণের পরিমাণ থাকে ০.২ মিলিগ্রাম এবং রুটিতে আয়রণের পরিমাণ থাকে ১.৫ মিলিগ্রাম।
একই পরিমাণ ভাতে ক্যালসিয়াম থাকে ৩ মিলিগ্রাম এবং আটাতে বা রুটিতে থাকে ১২ মিলিগ্রাম। ভাতে এনার্জি থাকে ১০০ ক্যালোরি ও আটাতে থাকে ১০০ ক্যালোরি।
ভাত এবং রুটি দুটিতেই আছে প্রচুর পরিমাণে ফলেট যা নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে এবং রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করে। শিশুর জন্মগত ত্রুটি ঠেকাতেও কার্যকর। সেই কারণে গর্ভবতী মায়েদের রুটির থেকে ভাত বেশি খাওয়া ভালো।
রুটি ও ভাতে আয়রনের পরিমাণ সমান থাকলেও ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়ামের পরিমাণ ভাতে কম থাকে রুটির তুলনায় ।
সব মিলিয়ে ভাত, রুটি দুটিতেই রয়েছে উপকার। আর চিকিৎসকরা মনে করেন, ভাত ও রুটি মিশিয়েই খাওয়া উচিত। দুটি খাবারই শরীরের কোনো না কোনো প্রয়োজনের চাহিদা পূরণ করে।